অমি রহমান পিয়াল : এক ভদ্রলোক ইনবক্সে আসছেন আমাকে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান দিতে। সবার আগে জানালেন তারে যেন জামায়াত না ভাবি। তারপর তিনি তার আওয়ামী বিদ্বেষ তুলে ধরলেন। আমি বললাম, আপনি অপরাধীদের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলাচ্ছেন কেন? তাছাড়া আওয়ামী লীগ যে পরিমাণ স্ক্রুটিনিতে থাকে তাতে এমন কোনো ইনস্টেন্স কম যে অপরাধী গ্রেফতার হয় নাই বা তার বিচার হয় নাই। তারপর বললেন, প্রধানমন্ত্রী নিয়া কটুক্তি করলে কেন অপরাধ হবে? বললাম, প্রধানমন্ত্রী মানেই আমাদের রাষ্ট্র, তারে মানুষ ভোট দিয়া প্রতিনিধি বানাইছে, তারে কটুক্তি করা মানে দেশ এবং নাগরিকদের বিবেচনারে কটুক্তি করা। ইটস আ ব্যাড প্র্যাকটিস। জবাবে তিনি বললেন, হযরত আলী বলছেন সেই জাতির কোনো উন্নতি নাই যারা নারী নেতৃত্ব মানে। বললাম, এলাস, বিবি ফাতিমাও তার ক্ল্যানের হাল ধরছিলেন।

 মহানবীর প্রচুর হাদিস আমরা বিবি আয়শার বরাতে শুনতে পারি। আমারে তিনি ইসলাম সম্পর্কে আরও জ্ঞানী হইতে বললেন। বললাম, আমি দায়িত্ব নিয়া বলতে চাই আপনার চেয়ে ইসলাম সম্পর্কে আমি বেশি জ্ঞানী এবং আমার জ্ঞান আল্লাহ বিবেচনাহীন করেন নাই, অযৌক্তিক করেন নাই। তারে আরও বললাম, নিজেকে মুসলমান দাবি করার আগে এবং ইসলামের বুঝদার সাজার আগে সবার আগে নিশ্চিত হতে হবে মুনাফেকি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ। আপনি যা করতেছেন তা মুনাফেকি কিনা নিশ্চিত হতে হবেন। ইসলামের নামে যদি শয়তানের কাছে আত্মা বন্ধক রাখেন তাহলে তো হইলো না। 

উনি আবার আমাকে ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনা করতে বললেন। আমি বললাম, একটা ছোট্ট পরীক্ষা, ছোট্ট চ্যালেঞ্জ, আপনি রাজি থাকলে। তিনি রাজি হইলেন। আমি বললাম, যেকোনো মুসলমানের জন্য চার কলেমা জানা জরুরি। কারণ এই কলেমা পড়েই একজন মানুষ মুসলমান হয়। এই কলেমা ভোলা যাবে না। আপনি আমারে চারটা কলেমা বলেন। কোনো বইর সাহায্য নিবেন না, অনলাইনে লিংক গুতাবেন না। সৎভাবে এই পরীক্ষা দিয়া প্রমাণ করেন আপনি একজন মুসলমান। ইসলামের বেসিক জানেন। উনি বললেন, তার নামাজের সময় হয়ে গেছে। তিনি আমার সঙ্গে পরে কথা বলবেন...। লেখক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। ফেসবুক থেকে